বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, চকবাজার, কাপাসগোলা, হালিশহরসহ নগরীর বহু ব্যস্ততম এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। শুধু রাস্তাই নয়, অনেক বাসাবাড়িতেও ঢুকে গেছে পানি। রান্নাঘর থেকে শুরু করে শোবার ঘর পর্যন্ত পানি উঠে যাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। কোথাও কোমরসমান পানি, কোথাও আবার জলজটে আটকে থাকা শত শত যানবাহন। যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল বাস, অফিস যাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।

জলবদ্ধতার কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নগরবাসি সিটিজিপোস্টকে বলেন, শহরের ড্রেনগুলোর সময়মতো পরিষ্কার না করা কিংবা পরিষ্কার করলেও ময়লা পাশে জমা রাখে এবং ধীরে ধীরে আবার ড্রেনে পরে যায়। ফলে, পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে নগরবাসীকে এই দীর্ঘদিনের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে।

হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও মাঝারি বৃষ্টিতে নগরীর রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় নগরবাসী সংশ্লিষ্টদের দুষলেও মেয়রের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি দেখছে না।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস