চট্টগ্রাম নগরীতে চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতা অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ভোগান্তি যেন কমেনি নগরবাসীর। এবার নগরবাসীর সামনে ভোগান্তির নতুন কারণ হয়ে হাজির হয়েছে সড়কজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গর্ত ও খানাখন্দ। এসব ভাঙাচোরা রাস্তা এখন জনজীবনের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
নগরীর বেশিরভাগ সড়কেই সারা বছরই চলে নানা সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ি। যার ফলে তৈরি হয় ছোট-বড় হাজারো গর্ত ও খানাখন্দ। এখন সেইসব স্থানে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের গভীরতা চার থেকে দশ ইঞ্চি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য পাথর, ধূলাবালি ও ভাঙাচোরা অংশ। এসব কারণে চট্টগ্রাম নগরী এখন জনসাধারণের চলাচলের জন্য হয়ে পড়েছে অনুপযোগী।
টইগার পাস থেকে শুরু করে ওয়াসা, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দার হাটসহ প্রায় সব এলাকায় একই চিত্র- পুরো সড়ক যেন ক্ষতবিক্ষত। কোথাও উঠে গেছে পিচ, কোথাও গর্তে জমেছে পানি। শহরজুড়ে সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। শুধু এই সড়কই নয়, নগরীর বেশিরভাগ সড়কের পিচঢালাই নষ্ট।
পেশায় রিকশা চালক ৩৭ বছর বয়সী মনির হোসেন। সারাদিন যাত্রী নিয়ে নগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলাই তার কাজ। দৈনিক দেশ বর্তমান প্রতিবেদককে তিনি বলেন, নগরীর ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় রিকশা চালানো কঠিন। ছোট ছোট গর্ত আর খানাখন্দের ঝাঁকুনিতে কোমর যায় যায় অবস্থা।
নগীরর অক্সিজেন এলাকার টেম্পুচালক কামাল মিয়া বলেন, প্রতিবার বর্ষা এলেই রাস্তায় ছোট ছোট গর্তে পানি জমে ভরে যায়। এতে বোঝার উপায় নেই কোথায় রাস্তা আর কোথায় পানি। এসবের কারণে গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।
রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী মুমতাহিনা চৌধুরী বলেন, আমি প্রায় রিকশায় যাতায়াত করি, তবে এসব খানা-খন্দের কারণে বর্তমানে রিকশা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কে ছোট বড় খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
শিক্ষার্থী মুমতাহিনা চৌধুরী আরও বলেন, সড়কের এসব খানা-খন্দ দ্রুত সময়ের মধ্য ঠিক না জনগণের দুর্ভোগ আরো বেড়েই চলবে।
সড়কের এমন বেহাল দশার অবসান কবে ঘটবে এ নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সিটিজি পোস্টকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর অধিকাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু সড়ক আমি নিজেও পরিদর্শন করেছি। আমরা আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছি, জলাবদ্ধতা নিরসন হলে একযোগে নগরীর প্রতিটা ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত করা হবে।
নগরবাসীর আশা, জলাবদ্ধতা ও সড়কের দুরবস্থা একসাথে নিরসন করে দ্রুত নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
১১ জুলাই, ২০২৫
চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা ১০ দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন বিভাগের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীতেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া।আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্...
১১ জুলাই, ২০২৫
১১ জুলাই, ২০২৫
১১ জুলাই, ২০২৫
১০ জুলাই, ২০২৫
১০ জুলাই, ২০২৫
১১ জুলাই, ২০২৫
চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা ১০ দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন বিভা...