গতকাল রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। প্রধান কৌঁসুলি এম তাজুল ইসলামের আবেদনের ভিত্তিতে আদেশে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে এবং এতে যেন ৭ দিনের সময়সীমা উল্লেখ থাকে।

গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয় শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মামলাকে ঘিরে এক বক্তব্যে তারা আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে শেখ হাসিনার কণ্ঠে বলা হয়: “আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।” এই অডিও ক্লিপটির ফরেনসিক যাচাই করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সত্যতা নিশ্চিত করে।

এরপর ১৫ মে’র মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা না করায় ২৫ মে হাজিরা দেওয়ার নতুন নির্দেশ জারি করে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সেই তারিখেও আসামিরা হাজির না হওয়ায় প্রধান কৌঁসুলি ট্রাইব্যুনালে বলেন, “আসামিরা আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন। তাই প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে হাজিরা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”

ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী আদেশের জন্য ৩ জুন দিন ধার্য করেছে। ওই তারিখে আসামিরা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারির পরও হাজির না হলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।