মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত ৩৫টি ওয়ার্ড কমিটির বিরুদ্ধে বুধবার সকালে ২৮ নম্বর ডবলমুরিং ওয়ার্ডে পদবঞ্চিতরা ঝাড়ু মিছিল করেন। মিছিল চলাকালে অতর্কিত হামলায় মোহাম্মদ আরিফ, বাপ্পা ও মোহাম্মদ রাফি আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, নবগঠিত কমিটির এক নেতাকে ধাওয়া দিলে তিনি আশপাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া প্রবীণ বিএনপি কর্মী কবির আহমদ বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসররা অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের উপর হামলা চালিয়েছে। যে কমিটি নিজের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করতে পারে, সেই কমিটি আমরা মানি না।”

পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কমিটিতে দলের ত্যাগী, কারাবরণকারী, আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এবং নিষ্ক্রিয় নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও মন্তব্যের মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

২৮, ৪১, ১১, ২৯, ২৭, ৩১, ৩ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে।

নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, “প্রতিবাদ গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে কমিটি এককভাবে দেওয়া হয়নি, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই গঠন করা হয়েছে। যারা কমিটিতে আসেনি তারা অভিযোগ করতেই পারে, এটা রাজনীতির অংশ।”

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেতাদের ছবি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সামাজিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ছবি তোলা দোষের নয়। তাতে কেউ আওয়ামী লীগ হয়ে যায় না।”

সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, “কমিটিতে শতভাগ নিখুঁত হওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যোগ্যদের স্থান দিতে।”

তথাকথিত ‘পকেট কমিটি’ বাতিলের দাবিতে বুধবার বিকেলে নয়াহাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে পাঁচলাইশ ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সভায় বক্তব্য রাখেন বায়েজিদ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, মোর্শেদুল আলম, মফজল আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুর রহমান কাজলসহ ওয়ার্ড ও থানা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও সুবিধাবাদীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন করে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।

একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে একে খান মোড় এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও। তবে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে নবগঠিত কমিটির পক্ষে আনন্দ মিছিল হয়েছে।