স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় দেশের ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করেনি, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২(১) লঙ্ঘন।
চিঠিটি স্বাক্ষর করেন বিভাগটির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম। বর্তমানে ইউজিসি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে।
তালিকাভুক্ত ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো— দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস।
ঢাকার বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো— নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (সিলেট), ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (কিশোরগঞ্জ), নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (খুলনা), ফেনী ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি (কুমিল্লা), পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (চট্টগ্রাম)।
এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইউজিসি ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চারটির ওপর ভর্তি নিষেধাজ্ঞা, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তিতে বাধা এবং বাকিগুলোর জন্য সময়সীমা বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে, অনুমোদনের পর সাত বছরের মধ্যে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাঁচ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বাধ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তা না হলে ইউজিসি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।