রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর সরকারি বাসভবন যমুনায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আমরা অনেক বড় সংকটে আছি। এই সংকট সৃষ্টির পেছনে রয়েছে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, যারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনকে মানতে চাইছে না এবং আমাদের ধ্বংস করতে যা যা দরকার, সব কিছু করছে।”

বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের আধিপত্যবাদ কেবল রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিসরেও বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বন্দরের ব্যবস্থাপনা, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা, এমনকি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও চাপ দিচ্ছে। এগুলো বন্ধুত্বের প্রতীক নয়, বরং আধিপত্য প্রতিষ্ঠার কৌশল।”

ড. ইউনূস আরও জানান, এই সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণই একমাত্র পথ।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক ভারতের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি বাতিল এবং সীমান্তসহ বিভিন্ন ইস্যুতে টানাপোড়েন পরিস্থিতিকে আরও স্পষ্ট করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক বার্তা নয়, এটি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একটি কৌশলগত দিকনির্দেশনাও বটে।