প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রোববার (১ জুন) সকালে এই রায় দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হাইকোর্টের রায়ের আইনগত ভিত্তি ছিল না, এবং নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অধিকারের পরিপন্থী।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়ের ফলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সামনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না। তবে দলটি তাদের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামীর সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হলেও, ২০০৯ সালে ২৫ জন নাগরিক দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এরপর ২০১৩ সালে হাইকোর্ট দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে, যে রায়টি আজ বাতিল হলো।

২০২৪ সালের সরকার পতনের আগে, ওই বছরের ১ আগস্ট জামায়াত ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর দলটি নিবন্ধন পুনর্বহালের জন্য আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে, যা গৃহীত হয়।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত চলমান শুনানির পর আজ এই ঐতিহাসিক রায় দিল আপিল বিভাগ।

এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তারা জাতীয় রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত।