শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর–কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চলমান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম শান্তু।
ওসি নাজমুন নূরকে পটিয়া থানা থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। একই দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর জাকির হোসেন সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
ঘটনার সূচনা ঘটে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে। পটিয়ার শহীদ মিনার এলাকা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাঙ্গামাটি জেলা সহ-সভাপতি দীপংকর দে (২৯)–কে আটক করে আন্দোলনকারীরা থানায় নিয়ে যান। কিন্তু পুলিশের দাবি ছিল, দীপংকরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, তাই তারা গ্রেপ্তার করতে অপারগ।
এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীপংকর নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের নেতা হয়েও পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টোভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে, যাতে কয়েকজন আহত হন।
পুলিশ দাবি করেছে, দীপংকর দে–কে মারধর করে থানায় নিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা এবং থানার ভেতরেই মিছিল করেন, যা আইনবহির্ভূত।
এই ঘটনার জেরে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হয়। ছাত্ররা ওসি নাজমুন নূরের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নামে।
শেষ পর্যন্ত জনদাবি বিবেচনায় প্রশাসন ওসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।