চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলাগুলোতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৫ জন, রাঙামাটিতে ৫ হাজার ৫৫৪, খাগড়াছড়িতে ৭ হাজার ৮২ এবং বান্দরবানে ৩ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা বিভাগজুড়ে মোট ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

পরীক্ষা শুরুর দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছান। পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হাতে ইউনিফর্ম পরিহিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর সামনে কক্ষ পরিদর্শক, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও তৎপরতা দেখা গেছে।

সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, লাগানো হয়েছে নকলবিরোধী পোস্টার এবং প্রতিটি কক্ষে রয়েছে অ্যানালগ ঘড়ি। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বর্ষাকালে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝুঁকি এড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগকেও সতর্ক রাখা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে—পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে, ওএমআর শিটে নির্ভুলভাবে তথ্য পূরণ ও বৃত্ত রঙ করতে হবে, বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল অংশের মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না এবং উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। এছাড়া পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; তবে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।

পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নয়, স্থানান্তরিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি (MCQ) এবং ব্যবহারিক—এই তিনটি অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রতিটি পরীক্ষায় উপস্থিতির স্বাক্ষর দেওয়া বাধ্যতামূলক।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু করতে পর্যবেক্ষক দল মাঠে কাজ করছে এবং নিয়মভঙ্গের কোনো ঘটনা শূন্য সহনশীলতায় দেখা হবে। পরীক্ষার পুরো সময়জুড়ে এই সজাগ অবস্থান অব্যাহত থাকবে।