দক্ষিণ চট্টগ্রামের চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জলদী রেঞ্জের জলদী, চাম্বল, নাপোড়া ও পুঁইছড়ি এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির পাল। চলতি মাসে তারা বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সংগ্রহ করলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে আতঙ্কে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজন।
অন্যদিকে, কালীপুর রেঞ্জের পুকুরিয়া, সাধনপুর ও কালীপুর পাহাড়ি এলাকায়ও কোথাও না কোথাও হাতির পাল দল বেঁধে চলাফেরা করছে। এতে ফসলের ক্ষতি, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ নানা ঘটনা ঘটছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, হাতির অভয়ারণ্যে জনবসতি স্থাপন, হাতি নিধন, দাঁত-শুঁড়সহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির মতো কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ও বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কালীপুর রেঞ্জের অধীনে পাহাড়ি কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া এবং জলদী রেঞ্জের আওতায় জলদী, চাম্বল, নাপোড়া ও পুঁইছড়ি বনবিট এলাকায় এ পর্যন্ত ২০টির বেশি হাতির মৃত্যু হয়েছে। মানবসৃষ্ট বিদ্যুতের ফাঁদ, খাদ্যে বিষক্রিয়া ও অসুস্থতাসহ নানা কারণে এ মৃত্যু ঘটে। স্থানীয়রা বলছেন, যারা অবৈধভাবে পাহাড়ে বসবাস করছে কিংবা পাহাড় ও মাটি কেটে ধ্বংস করছে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
চাম্বল এলাকার পাহাড়ে চাষাবাদকারী আবুল কালাম জানান, সম্প্রতি চাম্বল ও জলদীর পাহাড়ি এলাকায় হাতির পাল ঘুরছে। তারা চোখের সামনে কলাগাছসহ যা পাচ্ছে তাই খাবার হিসেবে গ্রহণ করছে।
চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জের আওতাধীন বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসরাঈল হক বলেন, কিছুদিন ধরে ইকোপার্কের আশপাশে হাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে মানুষজন শঙ্কিত হলেও তেমন কোনো ক্ষতি করছে না। খাবার যেমন কলাগাছ ও কাঁঠাল গাছ খেয়ে আবার পাহাড়ে ফিরে যাচ্ছে।
জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানান, হাতি সুরক্ষায় বন বিভাগের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার হাতির আবাসস্থল নিরাপদ করা, খাদ্যের যোগান বাড়ানো, বনাঞ্চলের ভেতরে জলাধার তৈরি, হাতির করিডোর বাধামুক্ত রাখা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, হাতিকে পাহাড়ি এলাকায় ফিরিয়ে নিতে পাঁচটি এলিফ্যান্ট রেসকিউ টিম গঠন করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কারণ হলো পাহাড়ে জনবসতি আর খাদ্যের অভাবের কারণে হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসছে। তাই পাহাড়ি এলাকায় হাতির জন্য কলাগাছসহ খাদ্যযোগ্য গাছ রোপণ ও জলাধার তৈরি করা প্রয়োজন।
সিটিজি পোস্ট /এমসি
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে মাদক বিরোধী র্যালী ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বারশত গ্রামে একটি র্যালী বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালিবাড়ি বাজার মোড়ে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়। এতে অংশ নেন বারশত ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের সচেতন নাগরিকরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ম...
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে সমাজকে রক্ষা করতে মাদক বিরোধী র্যালী ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বারশত গ্রামে একটি র্যালী বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালিবাড়ি বাজার মোড়ে এসে মানববন্ধনে মি...