জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি)এর আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লাইটার জাহাজের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতে সরকার ‘বাংলাদেশ সমুদ্র বন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন নীতিমালা২০২৪’ প্রণয়ন করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী বিডব্লিউটিসিসি কর্তৃক বরাদ্দ বা ছাড়পত্র ব্যতীত কোনো লাইটার জাহাজ দেশের সমুদ্র বন্দর, নদীবন্দর বা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। এ নিয়ম অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট জাহাজের সার্ভে, রেজিস্ট্রেশন ও উপকূল অতিক্রমের অনুমতিপত্র বাতিল বা স্থগিত করার ক্ষমতা রয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের।

শর্তসাপেক্ষে ফ্যাক্টরি ও গ্রুপ অব কোম্পানির নিজস্ব লাইটার জাহাজ কেবল নিজস্ব পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা যাবে। তবে অতিরিক্ত জাহাজ প্রয়োজন হলে তা বিডব্লিউটিসিসি থেকে বরাদ্দ নিতে হবে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ২৪টি লাইটার জাহাজ হলো এমভি মাদার ক্বাবা, এমভি শামীম এন্টারপ্রাইজ, এমভি নিনো ট্রেডার্স, এমভি মেরাজ, এমভি সাকিফ-১, এমভি আরিফুল্লাহ, এমভি কুমিল্লা সানজিদা, এমভি মকবুল-২, এমভি সালমান, এমভি রাজিয়া সুলতানা, এমভি লালমনি, এমভি ফারদিন, এমভি আবিদা, এমভি লাবিব, এমভি রাইসা, এমভি শামসুল, এমভি আরিফা, এমভি মদিনা, এমভি হামজা, এমভি ফরিদ, এমভি মাকসুদ, এমভি নাজমা, এমভি শিফা ও এমভি সুমাইয়া।

নৌপরিবহন অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ জাহাজগুলো কোনো ধরনের পণ্য পরিবহনে অংশ নিতে পারবে না।