চট্টগ্রাম নগরের বিমানবন্দর সড়কের ইপিজেড অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় এসব গর্তে পানি জমে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ফলে ১০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা।

দীর্ঘদিনেও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির স্থায়ী সংস্কার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, গার্মেন্টস শ্রমিক ও অফিসগামীরা যাতায়াত করেন। কিন্তু ভাঙা সড়কের কারণে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এলাকাটিতে দুটি বড় ইপিজেড থাকায় প্রতিদিন হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফিউল আজম বলেন,সড়কটি এখন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সিটি কর্পোরেশন মাঝে মাঝে ইট বিছালেও কয়েকদিনের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে যায়। প্রায়ই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে চাকরিজীবী মো. আকিব বলেন,এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। স্থায়ী মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। হাজারো শ্রমিক প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক জানান,দীর্ঘ সময় বৃষ্টির কারণে সড়কটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফ্লাইওভারের কাজের কারণে এ সড়কের সংস্কারের জন্য আলাদা বরাদ্দও নেই। তবে সিডিএ চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।