চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, সন্ত্রাসীদের বিচার ও আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা মশাল মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
মশাল মিছিল থেকে প্রশাসনের পদত্যাগ, সন্ত্রাসীদের বিচার, আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় নেতা–কর্মীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমার ভাই কোপ খায়, প্রশাসন নিয়োগ চালায়’, ‘এক দফা এক দাবি, প্রশাসন কবে যাবি’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, "সন্ত্রাসীদের আক্রমনে আমাদের ৪ জন ভাই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, শত শত শিক্ষার্থী আহত এবং এর দায়ভার যতটুকু না স্থানীয় সন্ত্রাসীদের তার চেয়ে বেশী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এই এক বছরে আমাদের ভাইবোনেরা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা একাধিকবার আক্রমনের শিকার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যুনতম কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনেনি। যার কারণে সন্ত্রাসীরা চবির ইতিহাসে এতবড় ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে এবং সারারাত যখন আমাদের শিক্ষার্থীরা মার খাচ্ছিলো তখন প্রধান প্রক্টর একবারের জন্য ঘটনাস্থলে আসেনি। এই প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। যারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না তাদের প্রশাসনের চেয়ার আঁকড়ে থাকার কোন অধিকার নেই অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারার ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিদের পদত্যাগ করতে হবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, "স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার সময় আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম নিষ্ক্রিয় ছিলো।তারা আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারতো। সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে না পারার ব্যর্থতা'ই সংঘর্ষের বড় রূপ দিয়েছে। অতীতেও গুপ্ত হামলাসহ নানা ইস্যুতে তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা এই প্রক্টরিয়াল টিমসহ প্রশাসনের ব্যর্থ ব্যক্তিদের অপসারণ চাই। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।"
গত ৩১ আগস্ট রবিবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাঁধে। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ পরদিন সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে সংঘর্ষে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবি জানায় তারা।
সিটিজি পোস্ট/ জেউ
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকৌশলীদের বিভাগীয় মহাসমাবেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিগত ছয়মাস ধরে প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ে ৩ দফা দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শিক্ষার্থী...
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকৌশলীদের বিভাগীয় মহাসমাবেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিগত ছয়মাস ধরে প্রকৌশ...