ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে জেন–জি প্রজন্মের তরুণেরা। কারফিউ উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভে নামে তারা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস পার্টির কার্যালয়, মন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাসভবনে হামলা চালায়। কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ‘নেপো কিড’ ক্যাম্পেইন ঘিরে, যেখানে রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তরুণেরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ফেসবুক–ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন থামেনি। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সংসদ ভবনে আগুন দেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশটিতে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান স্থানীয় নেতারা ও সেনাপ্রধান। এর আগের দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেন। অবশেষে ব্যাপক চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা আসে।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস