চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী-স্থানীয় সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা করেছে। ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত এই সভার সিদ্ধান্তগুলো রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন। এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনসহ সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:
১। ৩০ ও ৩১ আগস্টের ঘটনায় সিন্ডিকেট তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং আহতদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করে।
২। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে এবং সমস্ত ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। ৩। আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।৪। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মডেল থানা, রেলগেটে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন এবং শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
৫। শিক্ষার্থীরা যেখানে বসবাস করে সেসব কটেজ/ভবনের মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া ও অন্যান্য সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬। মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, দুটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় এবং ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তরের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন করে সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
৭। বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে দ্রুত পাঁচটি ছাত্র ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৮। বিদ্যমান আবাসিক হলগুলো সংস্কার করে বসবাসযোগ্য করা হবে।
৯। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ও টহল অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে।
১০। ৩০ ও ৩১ আগস্টের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দোষী চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হবে। ১১। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন—প্রফেসর ড. রেজাউল আজিম (পদার্থবিদ্যা), প্রফেসর ড. সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুল হুদা (ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স), প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমান উল্লাহ (নিরাপত্তা প্রশাসক), সহকারী প্রক্টর সাইদ বিন কামাল চৌধুরী, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার সহকারী পরিচালক তাহমিদা খানম এবং সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিম।
একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পর্যায়ক্রমে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঘটনায় স্থানীয় মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকারকে তা পূরণের অনুরোধ জানানো হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও এতে সহযোগিতা করবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশাসন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ স্বাভাবিক করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, সন্ত্রাসীদের বিচার ও আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। আজ ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা মশাল...
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, সন্ত্রাসীদের বিচার ও আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। আজ ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার...