নিহত মিজবাহ উদ্দিন ওই এলাকার মো. কাইছার উদ্দিনের পুত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান।

প্রতিবেশী বখতিয়ার জানান, মিজবাহ প্রতিদিনের মতো রিকশা চালিয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপর বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে অটোরিকশায় চার্জ দিতে যান। এ সময় অসতর্কতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে গুনাগরিস্থ মা-শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “মিজবাহ উদ্দিন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। তার বাম হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের আঘাতের চিহ্ন ছিল।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজবাহ জন্মের দুই বছর পর মাকে হারান। পিতা-ছেলের অভাবের সংসার চলত অটোরিকশা চালিয়ে। ভাগাভাগি করে চালানো সেই রিকশাটিই শেষ পর্যন্ত কিশোর মিজবাহর প্রাণ কেড়ে নিল।