কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছেলেকে দিয়ে বাবাকে হত্যার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে বসতভিটার পাশে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০)। কয়েক বছর আগে তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে পরিবার নিয়ে এসে খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় বসবাস শুরু করেন। নিহত ও তার পরিবার রোহিঙ্গা নাগরিক।
হত্যার প্রায় দেড় দিন পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ছৈয়দের বাড়ির আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে ধানক্ষেতের মাটিচাপা দেওয়া স্থানে একটি শার্ট দেখা গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তারা তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯–এ ফোন করে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত ৯ টার দিকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, "সোমবার ভোরে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পর নিহত ছৈয়দের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া বাধেঁ। এ সময় ছেলে রফিকও তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে বাবাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা লাশ গোপন করার চেষ্টা করে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার রাতেই নিহতের স্ত্রী ও দুই ছেলে রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে ধানক্ষেতে লাশ পুঁতে রাখেন। পরদিন সকালে তারা সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান জানান, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিটিজিপোস্ট/ এসএইচএস