আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর তা ঘিরে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি'র (এনসিপি) শর্ত ও আন্দোলনের হুশিয়ারি কারণে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভোটের সময়সূচি ঘোষণা ও প্রস্তুতির কথা বলা হলেও সংস্কার প্রস্তাবের জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ নানা ইস্যুতে জামায়াত ও এনসিপি বিএনপির সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি ও মতপার্থক্য বাড়ছে। এই বিষয়ে উঠে এসেছে বিবিসি বাংলার খবরে।
জামায়াত ও এনসিপি অভিযোগ করেছে, সংস্কার ও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের বিষয় পাশ কাটিয়ে ‘সাজানো নির্বাচন’ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। তারা সংস্কারের জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু ও নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে। এসব দাবিতে ইসলামপন্থী আরও কয়েকটি দলও তাদের সঙ্গে আছে।
বিএনপি শুরু থেকেই পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির মতে, নির্বাচনের আগে বড় ধরনের সাংবিধানিক সংস্কার নয়, এসব কাজ নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে হওয়া উচিত। প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্রেও একই কথা বলা হয়েছে, যা জামায়াত ও এনসিপির আপত্তির কারণ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই শর্ত বিএনপিকে রাজনৈতিক চাপে ফেলতে পারে। জামায়াত ও এনসিপি যদি ভোট বর্জন করে, নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে না—এমন অভিযোগ উঠতে পারে, যা বিএনপির জন্য অস্বস্তিকর হবে। তবে বিএনপি নেতারা বিষয়টিকে ‘মাঠের বক্তব্য’ হিসেবে দেখছেন এবং বিশ্বাস করেন, সব দলই শেষ পর্যন্ত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেবে।
জামায়াত ও এনসিপি বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তারা রাজপথে আন্দোলন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতিও নিচ্ছে। এনসিপির এক শীর্ষ নেতা তো প্রকাশ্যে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না, যা সন্দেহ ও সংশয় আরও বাড়িয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তফসিল ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হবে, তবে সাংবিধানিক সংস্কারের দাবিগুলো আলোচনার বিষয় নয়। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়লে তা ভোটের আয়োজনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
তাদের মতে, গণতন্ত্রে ফেরার জন্য নির্বাচন জরুরি। কিন্তু কোনো পক্ষের কারণে নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দায় সেই পক্ষকেই নিতে হবে, আর কোনো রাজনৈতিক দল সেই দায় নিতে চাইবে না।
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
নরসিংদী সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম ইদন মিয়া (৫৫)। তিনি মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তবে আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মেঘনা নদী ...
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
নরসিংদী সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম ইদন মিয়া (৫৫)। তিনি মুরাদনগর গ্র...