কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দুর্জয় চৌধুরীর (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঘটনার ২৭ দিন পর আদালতের নির্দেশে চকরিয়া থানা এ মামলা রেকর্ড করে।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে, চকরিয়া থানার সাবেক ওসি শফিকুল ইসলাম, এএসআই হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মহিউদ্দিন ও ইসরাক হোসেন, চকরিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম, সহকারী শিক্ষক জসীম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক পারভেজ এবং নৈশ প্রহরী নুর মোহাম্মদকে। এছাড়া আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র দাশ জানান, ২২ আগস্ট থানা হাজতে দুর্জয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপায়ন দেব ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এর আগের দিন (২১ আগস্ট) বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দুর্জয়কে বিদ্যালয়ে আটকে রেখে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরদিন ভোরে হাজতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
দুর্জয়ের বাবা কমল চৌধুরী ২৬ আগস্ট থানায় এজাহার দায়ের করেছিলেন। তবে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। পরে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি জেলা দায়রা ও জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত শুনানি নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলা রেকর্ড করে প্রতিবেদন দিতে।
কমল চৌধুরী আশঙ্কা করছেন, মামলায় পুলিশের চারজন সদস্য আসামি থাকায় ভিসেরা ও চিকিৎসা প্রতিবেদন নিরপেক্ষ নাও হতে পারে।
এ বিষয়ে চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস জানান, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার নথি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
সিটিজিপোস্ট/এমএইচডি