মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন।
তিনি জানান, “গতকাল আমরা মাইলস্টোন কলেজ পরিদর্শন করেছি। শোকাহত পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেছি। এখনো অনেকেই শোক ও বিস্ময়ে স্তব্ধ। কলেজ ক্যাম্পাসে ছিল শোক আর ক্ষোভের আবহ।”
শফিকুল জানান, অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেছে। তবে প্রেস সচিব হিসেবে দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা বাস্তবে অসম্ভব। নিখোঁজ হলে পরিবারই প্রথমে তা জানান দেয়, হাসপাতাল থেকে তথ্য পাওয়া যায়। ফলে এসব তথ্য গোপন করার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও জানান, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করতে বলা হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে স্কুল রেজিস্ট্রির তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে আহত ও নিহতদের সংখ্যা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, উপদেষ্টারা সুপারিশ করেছেন, এই কার্যক্রমে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখতে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে হাসপাতালগুলোর তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, “আমরা সেখানে নয় ঘণ্টা ছিলাম। শান্তিপূর্ণ ও বলপ্রয়োগহীন সমাধানের লক্ষ্যে উপদেষ্টারা যতক্ষণ প্রয়োজন হোক অবস্থান করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পরই আমরা সেখান থেকে বের হই।”
তিনি নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি। আমরা তাদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছি।”
এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিমান প্রতিরক্ষা উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস
২৩ জুলাই, ২০২৫
মাহরীন চৌধুরী নিজের জীবনের অন্তিম মূহুর্তে অবিচল ছিলেন তার দায়িত্ব। মাইলস্টোল স্কুল এন্ড কলেজের ছিলেন একজন সমন্বয়ক। দুই সন্তানের জননী মাহরীন চৌধুরীর সন্তানতূল্য ছিলেন স্কুলের বাকি শিক্ষার্থীরা। জীবনের অন্তিম এই সময়ে ফেলে রেখে যাননি কাউকে।চেয়েছিলেন যতটা সম্ভব প্রাণগুলোকে আগুনের অনন্ত শিখা থেকে বাঁচাতে। শেষমেষ তাঁর ছাত্রছাত্রীদের বাঁচানোর জন্য জীবন দ...
২৩ জুলাই, ২০২৫
২৩ জুলাই, ২০২৫
২৩ জুলাই, ২০২৫
২৩ জুলাই, ২০২৫
২৩ জুলাই, ২০২৫
২৩ জুলাই, ২০২৫
মাহরীন চৌধুরী নিজের জীবনের অন্তিম মূহুর্তে অবিচল ছিলেন তার দায়িত্ব। মাইলস্টোল স্কুল এন্ড কলেজের ছিলেন একজন সমন্বয়ক। দুই সন্তানের জননী মাহরীন চৌধুরীর সন্তানতূল্য ছিলেন স্কুলের বাকি শিক্ষার্থীরা। জীবনের অন্তিম এই সময়ে ফেলে রেখে যাননি কাউকে।চেয়েছিলেন যত...