প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটিকে কমিশনের সমাপনী বৈঠক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সমকালকে বলেন, “সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের কাছেই কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ জমা দেওয়া হবে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।”

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ-২০২৫’ জারি করার সুপারিশ করা হবে। জুলাই সনদ হবে এই আদেশের অংশ, আর গণভোট হবে আদেশটির ওপর। গণভোটে আদেশটি অনুমোদিত হলে আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা থাকবে, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়েই গঠিত হবে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’।

সূত্র জানায়, সংসদ ও পরিষদ একসঙ্গে কাজ করবে। সংসদের স্পিকার হবেন পরিষদের চেয়ারম্যান। সংসদ সরকার গঠন, আইন ও বাজেট প্রণয়নের মতো নিয়মিত কাজ করবে। আর পরিষদ জুলাই সনদে বর্ণিত সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংশোধন করবে। এজন্য গণভোটের মাধ্যমে পরিষদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষমতা (Constituent Power) দেওয়া হবে।

বৈঠক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাবলে আদেশ জারি করার সুপারিশ করছে কমিশন। যদিও বিএনপি সাংবিধানিক আদেশ জারির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির দাবি, বিদ্যমান আইনে প্রজ্ঞাপন জারি করেই নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজন সম্ভব। অপরদিকে জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে।

কমিশনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, অভ্যুত্থানের ক্ষমতাবলে জারি করা আদেশই হবে সনদের আইনি ভিত্তি।

গণভোটে জনগণকে একটিমাত্র প্রশ্ন করা হবে. “আপনি আদেশ সমর্থন করেন?”
ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাবেন। সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিকরাই গণভোটে অংশ নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদে থাকা ৮৪টি সংস্কার সিদ্ধান্তের মধ্যে ৯টি মৌলিক বিষয়ে বিএনপির ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। দলটির দাবিতে সেই ভিন্নমত সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।