চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করা মাদার ভেসেল থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহন করে ছোট লাইটার জাহাজ। এ কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল করতে বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) গঠন করা হয়। বিডব্লিউটিসিসির দেওয়া সিরিয়াল অনুযায়ী জাহাজগুলোকে বড় জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই করতে হয়।

কিন্তু প্রায় ৩ শতাধিক জাহাজ নিয়ম ভঙ্গ করে সিরিয়াল ছাড়া পণ্য পরিবহন করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক হাজার জাহাজ ও নাবিক-শ্রমিক। এরই মধ্যে বিডব্লিউটিসিসির আবেদনের ভিত্তিতে প্রথম ধাপে ২৪টি জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।

এমভি মাদার ক্বাবা, এমভি শামীম এন্টারপ্রাইজ, এমভি নিনো ট্রেডার্স, এমভি মেরাজ, এমভি সাকিফ-১, এমভি আরিফুল্লাহ, এমভি কুমিল্লা সানজিদা, এমভি মকবুল-২, এমভি সালমান, এমভি রাজিয়া সুলতানা, এমভি লালমনি, এমভি ফারদিন, এমভি আবিদা, এমভি লাবিব, এমভি রাইসা, এমভি শামসুল, এমভি আরিফা, এমভি মদিনা, এমভি হামজা, এমভি ফরিদ, এমভি মাকসুদ, এমভি নাজমা, এমভি শিফা, এমভি সুমাইয়া।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) কর্তৃক বরাদ্দ/ছাড়পত্র ছাড়া কোনো লাইটার জাহাজ দেশের সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর বা জেটি থেকে পণ্য পরিবহন করতে পারবে না।”

তবে যেসব ফ্যাক্টরি ও গ্রুপ অব কোম্পানির নিজস্ব লাইটার জাহাজ আছে, তারা অব্যাহতি পত্র সাপেক্ষে নিজস্ব পণ্য নিজস্ব জাহাজে পরিবহন করতে পারবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জাহাজ নিতে হলে বিডব্লিউটিসিসির মাধ্যমে বরাদ্দ নিতে হবে।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস