বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহকে পৃথক কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে তারা সবাই দপ্তর মারফত আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের কাছে লিখিত জবাব জমা দেন।

জবাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়নি। ফলে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করে বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বর্ষপূর্তির দিনে এই পাঁচ নেতা কক্সবাজারে ভ্রমণে যান এবং একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করেন। ওই সময় একটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হোটেলের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। তবে পরে বিষয়টি গুজব প্রমাণিত হয়।

ঘটনার পরদিনই সংশ্লিষ্ট পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। এনসিপি সূত্র জানায়, তারা নির্ধারিত সময়েই জবাব জমা দেন। অন্যদিকে, দলের সাম্প্রতিক সাধারণ সভায় কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গেও দীর্ঘ আলোচনা হয়।

সিটিজি পোস্ট/ এসএইচএস