রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ঐকমত্য বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আখতার হোসেন বলেন,

"জাতীয় নাগরিক পার্টি শুরু থেকেই বলছে, শুধুমাত্র নির্বাচন পরিচালনা করাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। এর আগে কিছু মৌলিক শর্ত পূরণ করতে হবে— যেমন জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি, বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করা এবং লেভেল প্লেইং ফিল্ড ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।"

তিনি আরও বলেন,

"বাংলাদেশে শুধুমাত্র ক্ষমতার হাতবদল হওয়াই যথেষ্ট নয়। ক্ষমতার কাঠামোতে ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণ আনতে হবে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান আমাদের কাছে একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের স্বপ্ন দেখিয়েছে। এখন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মৌলিক সংস্কার জরুরি।"

সংস্কার প্রশ্নে কোনো আপস না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আখতার বলেন,

"আমরা যদি এখানে ছাড় দিই, তাহলে গোটা জাতির স্বার্থ বিপন্ন হবে। এনসিপি বিশ্বাস করে— জনগণের সঙ্গে নিয়ে এই সংস্কারের পথ বের করাই এখন সময়ের দাবি।"

এনসিপির এই অবস্থান আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক বার্তা বলে বিশ্লেষকদের মত। দলটি ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে একটি সংস্কারবাদী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও সীমা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তুলে আসছে।