রোববার (২৯ জুন) দুপুরে থানায় গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু। তিনি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।

ওসি নূর আহমেদ সিটিজি পোস্টকে বলেন, “ওই ব্যক্তি থানায় এসে বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের ধরা যাবে না। ওয়ারেন্ট থাকলেও না। ধরলে দেখে নেওয়া হবে।’ আমি তাকে বলেছি, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ওয়ারেন্ট থাকলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফটিকছড়ি পৌরসভা সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল-কে ২০২৪ সালের একটি অর্থঋণ মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

ঘটনার পরপরই সাধারণ সম্পাদক রুবেল ১০-১২ জন কর্মীসহ থানায় উপস্থিত হয়ে ওসির কক্ষে প্রবেশ করেন এবং ইব্রাহিমকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চান। এ সময় তিনি উত্তপ্ত ভাষায় ‘জামায়াত নেতাদের ধরা যাবে না’ বলেও দাবি করেন।

গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, “রুবেল নিজেকে জামায়াত নেতা পরিচয়ে ওসিকে খোঁজেন এবং তাকে শাসিয়ে বলেন জামায়াত নেতাদের ধরা যাবে না। পুরো সময়জুড়ে তিনি হুমকির সুরে কথা বলেন। পরিস্থিতি বিব্রতকর ছিল।”

অভিযুক্ত রুবেল এক মুঠোফোন সংলাপে বলেন, “না না, ওসি সাহেবের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা হয়নি। আমাদের কয়েকজন ভাইয়ের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

ফেডারেশনের ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি গাজি মো. বেলাল বলেন, “‘মূল আসামি আটক না করে ওসির কাছে আমাদের নেতাদের আটকের কারণ জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা এখন মিটিংয়ে। তার দোষ আছে কী না দেখে পরে জানানো হবে।’”

ওসি নূর আহমেদ বলেন, “রুবেল ও তার লোকজনের আচরণ ও কথাবার্তা ছিল হুমকিমূলক। আমরা বিষয়টি যথাযথভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা বিস্তারিত জেনেছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”