জুলাইয়ের শুরুতে যখন “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচির সূচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তখন চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ালো এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীরা। দেশের রাজনীতিতে নতুন প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে ওঠা এই পদযাত্রা শুরু হতেই রক্তাক্ত সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরবর্তীতে দিনব্যাপী পটিয়া থানার সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এবং বিকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে বন্দরনগরীর খুলশীতে ডিআইজি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ''আন্দোলনকারীরা আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন। এর মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।’
ওসি অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কথা বলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ। তিনি আগামীকাল দুপুরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
তার এ ঘোষণার পর খুলশীতে সড়কে অবস্থানের তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধকারীরাও সড়ক ছেড়ে দেন। তবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে চট্টগ্রাম ‘মহানগর ব্লকেড’ ঘোষণা দিয়েছে বৈছাআ।
এনসিপি চট্টগ্রামের সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, ‘আমরা পটিয়া থানার ওসি সহ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এএসপিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। ডিআইজি মহোদয় আমাদের দাবি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামীকাল দুপুরের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচিতে নামব।’
সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে?
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়ায়। রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দে’কে আটক করে থানায় সোপর্দ করতে যান এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে দীপঙ্করের নামে মামলা না থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে অপারগতা জানান পটিয়া থানার ওসি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়।
হামলার পরদিন বুধবার সকালে পটিয়া থানা ঘেরাও ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধীরা।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেন। এরা হলেন- পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুর রহমান এবং জেলা পুলিশের পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম। তাদের অপসারণ করা না হলে আবারও সড়কে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে সড়ক ছাড়েন রাফি।
তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত পটিয়া থানার ওসিকে স্থায়ী অপসারণ করা না হচ্ছে ততক্ষণ রাজপথে আছি।”
কে এই ওসি পলাশ?
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরের কক্সবাজারের চকরিয়ায়। ২০২৪ এর সেপ্টেম্বরে তিনি পটিয়া থানায় যোগদান করেন। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক। যেটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।
৩ জুলাই, ২০২৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এলাকায় একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষি ফার্ম রোডের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পুকুরে স্থানীয় বাসিন্দারা লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে হাটহাজারী মডেল থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।পুলিশ সূ...
৩ জুলাই, ২০২৫
২ জুলাই, ২০২৫
২ জুলাই, ২০২৫
২ জুলাই, ২০২৫
২ জুলাই, ২০২৫
৩ জুলাই, ২০২৫
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এলাকায় একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষি ফার্ম রোডের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পুকুরে স্থানীয় বাসিন্দারা লাশটি...