জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, “স্বাধীনতার এত বছর পরও হাতিয়া দ্বীপ উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। এই দ্বীপের নাম নিলেই যারা গরিব, দুঃখী ও ভূমিহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।”
শনিবার (১৪ জুন) হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের হলরুমে ‘ভূমিহীন পরিবারের জীবনে নতুন ভোর, একটি স্বপ্নের যাত্রা, সম্মান ও স্বীকৃতির উৎসব’ শীর্ষক এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা আবদুল হান্নান মাসউদকে “ভূমিহীনদের বন্ধু” উপাধি প্রদান করেন। তিনি বলেন, “ভূমিহীনদের ভূমি বুঝিয়ে দিতে চাইলে ভূমিদস্যুদের গায়ে আগুন ধরে যায়। ফেরি সার্ভিস চালু করতে চাইলে স্পিডবোট-ট্রলার মালিকদের অসন্তোষ দেখা দেয়। আমরা যদি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু করি, অপরাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “হাতিয়ার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বারবার ষড়যন্ত্র করছে।”
হান্নান মাসউদ বলেন, “গত ৫০ বছরে হাতিয়ার নদীভাঙন রোধে একটি জিও ব্যাগও কেউ ফেলতে পারেনি। অথচ আমি গত ১০ মাসে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলেছি।”
তিনি আরও জানান, আগামীতে স্থায়ী ব্লক বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি এ কাজে এলাকাবাসীর সমর্থন কামনা করেন।
তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে আমি সরাসরি হাতিয়ার নদীভাঙনের বিষয়টি তুলে ধরেছি। হাতিয়ার মানুষের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই দরকার।”
তিনি আক্ষেপ করে বলেন,“ভূমিহীন মানুষগুলোকে যুগ যুগ ধরে রাজনৈতিক নেতারা লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু মিডিয়া, সুশীল সমাজ বা সাংবাদিকদের চোখে তারা আসে না। এই বাস্তবতা বদলাতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাতিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষক মফিজ উদ্দিন, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ভূমিহীন পরিবারের সদস্য শরিফ উদ্দিন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ফিরোজ উদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক ইউসুফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
