সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন আবদুল আল জাওয়াদ। বক্তব্য রাখেন সূর্যসেন পাঠাগারের সদস্য লাবনী আক্তার, ক্ষুদিরাম পাঠাগারের সদস্য সচিব অর্পিতা নাথ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সদস্য সুদীপ্ত গুহ, চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান মামুন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি রিপা মজুমদার, SPAO-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তানজিম আহমেদ, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী পুষ্পিতা নাথ এবং অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী মামুন খান রাহি।

বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা জন্ম নিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার পরিপন্থী কাজ করছে। বিগত কিছুদিনে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনরত জনগণের ওপর পুলিশি দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন, সেখানে পুলিশ নির্মমভাবে হামলা চালিয়ে তাঁদের আহত করে।

বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষকরা জাতির বিবেক, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নির্মাতা। অথচ তাঁদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে এমন বর্বর হামলা রাষ্ট্রের চরম অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এর আগেও আদিবাসী ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন-পীড়নের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, যা গণঅভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।