চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এক রাতেই তিনটি ভয়াবহ সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, গৃহবধূকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা এবং ডাকাতির চেষ্টায় পুরো এলাকা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দিনগত গভীর রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে।
পোমরা ইউনিয়নের জঙ্গল পোমরা এলাকার ভূমিহীন সবুজ গ্রামে বসবাসকারী প্রবাসী মো. জসিম উদ্দিনের (৪৫) বাড়িতে রাত আড়াইটার দিকে ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হানা দেয়। দেশ থেকে সদ্য ফিরে আসা প্রবাসী জসিমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান সামগ্রীর খোঁজ করে ডাকাতরা।
কিছু না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা জসিম ও তার স্ত্রী শাহানুর আকতারকে (৩৫) কুপিয়ে আহত করে। এতে জসিমের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়দের চিৎকারে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই রাতে (রাত ৩টার দিকে) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক রাঙ্গুনিয়া এলাকায় হোমিও ডাক্তার হরিসাধন সাহার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা হয়। ডাকাতদল একাধিক ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে এবং একটি ঘরের টিনের চাল খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। তবে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় তারা একটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, পোমরা ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় ভোর ৫টার দিকে দুর্বৃত্তরা আনোয়ারা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তিনি আশরাফ আলীর মেয়ে ও আবদুর রউফের স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, “প্রবাসী জসিম ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গৃহবধূকে জবাইয়ের চেষ্টা এবং অন্যান্য ডাকাতির ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় পুলিশের টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে। তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।