রবিবার (১৫ জুন) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মংক্য মারমা।

নিহত আব্দুল হাকিম একই ইউনিয়নের খন্তাকাটা ঘোনিয়াখোলা এলাকার বাসিন্দা, মৃত বাহার আলীর ছেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার পর ৯-১০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হঠাৎ ফুলতলি গ্রামে ঢুকে পড়ে। তারা আব্দুল হাকিমকে লক্ষ্য করে ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালায় এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।

ঘটনার পর এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত) ইমরুল হাসান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু কেউ কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এখনও নিহতের লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে বা এর পেছনে কোনো সংঘাত, দখল কিংবা রাজনৈতিক কারণ আছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।”

চেয়ারম্যান মংক্য মারমাও জানিয়েছেন, হামলাকারীদের পরিচয় বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।

রাঙামাটির রাইখালী ইউনিয়ন পার্বত্য অঞ্চলের একটি স্পর্শকাতর এলাকা। এখানে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দখলদারিত্ব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সশস্ত্র দলগুলোর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক এই হত্যাকাণ্ডকে এমন একটি দ্বন্দ্বের অংশ বলেই মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।