চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকায় মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত অবরোধ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। সংঘর্ষে থানার ওসি, এএসআই ও তিনজন কনস্টেবলসহ অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন: আরিফুল ইসলাম ওরফে ইয়াছিন (২৩), মো. আব্দুল মালেক (১৯), খালেদ বিন হোসেন (১৯), ওসমান গনি (১৯), রাকিব হাসান (২২), ইমাম হোসেন (১৯), আব্দুল কাদের মোহাম্মদ নকিব (২১), আবু সুফিয়ান (২৩), জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ (১৯), মোস্তফা হোসাইন সোয়াইব (২৩), বোরহান উদ্দিন (২২) ও এনামুল হক হাসান (২৩)।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, “সোমবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রসেনা, ইসলামী ফ্রন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের কর্মীরা পূর্বানুমতি ছাড়া অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভকারীরা কাঠ, বাঁশ, ইট-পাথর নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও গণপরিবহন ভাঙচুর করে।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়, ইট-পাথর ছোড়ে। এতে আমি নিজে ও আরও চারজন পুলিশ সদস্য আহত হই।”
ওসি আরও জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং গ্যাস সেল ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুরে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে আটক করা হয় এবং পরদিন ভোরে কারাগারে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও কর্মসূচি চলছিল।