চলতি বছর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজারে।
সর্বশেষ শনিবার (৩ মে) রাতে মিয়ানমার থেকে আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, নতুন আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে এবং শিবির-সংলগ্ন ভবন ও স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ অবস্থায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশ সরকারকে নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে, যার উত্তর এখনো দেওয়া হয়নি।
রোহিঙ্গা শিবির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকায় রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র হামলা জোরদার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রোহিঙ্গাদের ‘আরসা সংশ্লিষ্টতা’র অজুহাতে এই হামলা চালানো হচ্ছে। এ কারণে প্রাণ বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন।
বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “নাফ নদী ও স্থল সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে। মাদক ও মানবপাচার রোধেও অভিযান চলছে।”
জাতীয় নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ—তিনটি দিক থেকেই এই অনুপ্রবেশ পরিস্থিতি বাংলাদেশ সরকারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।