ডিম, আলু, পেঁয়াজের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সিন্ডিকেটের মুখে রীতিমতো চড় কষে দিয়েছিল সরকার কিন্তু এই নির্ধারিত দাম মানছেনা কেও । বাজারে এখনো ক্রেতাদের ভোগান্তি । ইচ্ছেমতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম,আলু ও পেঁয়াজ । প্রশ্ন করলে উত্তর হিসেবে তারা বলছেন পাইকারি বাজার থেকেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে দাম কমাতে পারছেন না বিক্রেতারা ।
সরকারের ঘোষণা মতে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে নির্ধারিত দামে এই তিন পণ্য কিনতে পারার কথা ক্রেতাদের । ডিম প্রতি ১২ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা ছিল, তাই গেল শুক্রবার থেকেই বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে ধারণা করেছিলেন ক্রেতারা৷ কিন্তু বাস্তবতা অন্য কথা বলে । বাজারে এখনো প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০-৫৫ টাকা অর্থাৎ প্রতিটি ডিম এখনো ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । আলুর দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৭২ থেকে ৭৬ টাকা ।
দিনমজুর রমিজ বাজার করতে এসে আমাদেরকে জানান, “আজকে বাজারে পেঁয়াজর দাম বাড়তি, একেক একেক দোকানে একেক দাম বলতেসে। ”
অন্যদিকে বিক্রেতা হামিদুর রহমান জানায়, “পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি রাখলে আমরা দাম কমাবো কিভাবে?”
পাইকারি দোকানীরা দাম না ছাড়ায় খুচরা বিক্রেতাদের দাম কমাতে পারছেন না এই ধরনের বক্তব্যই ভেসে আসছে ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে কিন্তু সাধারণ জনগণ চায় দ্রুত পরিবর্তন৷
এই বিষয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্ধারণ করে দেওয়া দাম বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকরা বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে মনিটরিং চলবে। সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যে এসব পণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।