নিজ অনুসারী ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন, চবি ছাত্রলীগ সভাপতি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের উপ-পক্ষ সিএফসি ও বিজয়ের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে ধাওয়া দিলে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।তবে চবি ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসেই আছি। কোনো ঝামেলা হয়নি। সমাবেশ করে শান্তিপূর্ণভাবে চলে এসেছি।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ৮ জুন (বৃহস্পতিবার) নিজ কর্মীকে কোপানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে নিজ দলের একাংশ ও ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ।
দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরে মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম করছিলেন চবি ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল হক রুবেল । এসময় একই শিরোনামে ফেসবুক লাইভ করছিলেন সভাপতি। সমাবেশের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়, ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও নিজ গ্রুপ সিএফসির নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেন রেজাউল হক রুবেলকে ও মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টার এই চবি মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ১২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি এসে মূল ফটকের তালা খুলে দেন।
ছাত্রলীগ কর্মীরা বলছেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসে এসে নিজ কর্মীদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ মিটিং করেন। অবাঞ্ছিত ঘোষণার পরও তার ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণে মূল ফটক আটকে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিএফসির একাংশের নেতা সাদাফ খান বলেন, সভাপতি রুবেলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরও ক্যাম্পাসে এসেছে। তার কর্মীদের সাথে মিটিং করেছে। সেজন্য আমরা তাকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার এ ঘটনার বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জেনে তারপর বলতে হবে।