দেশে ফের কোভিড-১৯’র সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে জেএন.১ নামে পরিচিত নতুন ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষাপটে তথ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সতর্কতামূলক বার্তা ও নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
রোববার (৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তথ্য অধিদফতর জানায়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং জনসমাগমপূর্ণ স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। বিশেষ করে সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সচেতনতা জরুরি।”
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বার্তায় বলা হয়, “বিশ্বজুড়ে জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান যেমন—হাসপাতাল, ক্লিনিক বা জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরা এখন সময়োচিত ও প্রয়োজনীয়।”
বার্তায় আরও জানানো হয়, বয়স্ক, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের জন্য চতুর্থ ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সার্জারি বা চিকিৎসা নেওয়ার আগে শুধুমাত্র উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার তথ্য অনুযায়ী, ৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত
এখন পর্যন্ত দেশে মোট ২০,২১,৭৪২ জন আক্রান্ত
মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯,৫০০ জনের
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি” ও “সংক্রমণ প্রতিরোধে গাফিলতি” আগামী দিনে নতুন ঢেউ ডেকে আনতে পারে।
তাদের মতে, জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণক্ষম হলেও মৃত্যুহার তুলনামূলক কম, তবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য তা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।