অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল। তারা নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ যাচাই করেন।

দুদক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া চারটি এনআইডি সংশোধনের পেছনে ঘুষ বা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এই অনিয়মে জড়িত।

সন্দেহজনক চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুদক টিম, যার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা এসব অ্যাকাউন্টের মালিকানা অস্বীকার করেছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইন বলেন, “আমাদের কাছে চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে অভিযোগ ছিল, যেগুলোর মধ্যে কিছু এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, সংশোধনের পেছনে অর্থ লেনদেন হয়েছে। চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়েছি, যাচাই করে দেখা হবে এগুলো কার নামে এবং কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়েছে।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “দুদকের টিম যে চারটি এনআইডির বিষয়ে তথ্য চেয়েছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি আগে থেকেই হয়েছে। তারা আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পর্কেও কিছু তথ্য নিয়েছেন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কার্যালয়ের কেউ যদি অনিয়মে জড়িত থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চট্টগ্রামে এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ঘুষ, দালালচক্র এবং ইসির কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ নতুন করে তদন্তের আওতায় এসেছে।