অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাম্প্রতিক এক আলোচনায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্ভাবনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার মতে, এই দুই অঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পর্যটন ও প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
ড. ইউনুস কক্সবাজারকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগানো উচিত। তিনি স্টারলিংকের মতো দ্রুত ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে যুবসমাজকে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। এই প্রযুক্তি যুব উদ্যোক্তাদের নতুন ব্যবসা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, যা অঞ্চলটিতে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এছাড়া, ড. ইউনুস কক্সবাজারে বায়ুশক্তির ব্যাপক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে বায়ুশক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করে ড. ইউনুস বলেন, এই অঞ্চলের বন্দর ও শিল্প-কারখানাগুলো দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তিনি চট্টগ্রামে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসা ও শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, চট্টগ্রামের যুবসমাজকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে তারা নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিতে পারে।
ড. ইউনুস আরও উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য স্থানীয় উদ্যোগ জরুরি। সরকারি সেবার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্থানীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
ড. ইউনুসের আলোচনায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সম্ভাবনাগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তার মতে, এই দুই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনুসের এই দিকনির্দেশনা দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
২১ জুলাই, ২০২৫
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশু ও পাইলটসহ এ পর্যন্ত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭১ জন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর হতাহ...
২১ জুলাই, ২০২৫
২১ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২০ জুলাই, ২০২৫
২১ জুলাই, ২০২৫
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশু ও পাইলটসহ এ পর্যন্ত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭১ জন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ...