চট্টগ্রামে আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে পুলিশের টানা মহড়া ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
গত ৬ এপ্রিল কারাবন্দি ছোট সাজ্জাদকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোডে সংঘটিত জোড়া খুন মামলায় শ্যোন এরেস্ট এবং চান্দগাঁও থানার ব্যবসায়ী তাহসীন হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর রাতেই তাকে নিয়ে পুলিশ রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া শুরু করে।
পুলিশের ধারণা, ছোট সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামি, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও রাউজান এলাকায় তার বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। সেই কারণে তাকে নিয়ে এলাকাগুলোতে পুলিশের কৌশলগত ঘোরাফেরা ও প্রচার চালানো হয়, যার অংশ হিসেবে আজ ৭ এপ্রিল সোমবারও বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন, নয়াহাট, কুয়াইশসহ বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেয় পুলিশ।
এই সময় পুলিশের গাড়িবহর ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে এলাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, আর তাকে দেখতে জনতা ভিড় জমায়। মহড়ার সময় বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করে জনগণের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা প্রচার করেন। তিনি জানান, “সন্ত্রাসী যত বড়ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোথাও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোর-ডাকাত দেখলে সাথে সাথে পুলিশকে জানাবেন।”
এই মহড়ায় অংশ নেয় চান্দগাঁও থানা, বায়েজিদ বোস্তামি থানা, নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), সোয়াত টিম, বিশেষ ফোর্সসহ সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তারা। পুলিশের এই ‘অপারেশনাল কাউন্সেলিং’ ও প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি দূর করা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়া। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, এ ধরনের কার্যক্রম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।