চট্টগ্রামে রেললাইনের পাশে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চলন্ত শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ রেল স্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাত ১১টা পর্যন্ত সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা।
এই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছানোর পর ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠেছে। ভাংচুর করা হয়েছে উপাচার্যের বাসভবন ও পুলিশ বক্স।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ৭ জনকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বন্দর নগরীর বটতলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায় শাটল ট্রেনটি। ফতেয়াবাদ রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনটি পৌঁছার পর রেললাইনের দিকে হেলে পড়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছাদে বসা কয়েকজন নিচে পড়ে আহত হন। অন্ধকারে গাছটি দেখতে পাননি তারা।
এদিকে শাটল ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার খবরে রাতেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে।
রাত সাড়ে ৮টার ট্রেন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ক্যাম্পাসে পৌঁছে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় জিরো পয়েন্টে অবস্থিত পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় উপাচার্যের বাসভবনেও ভাঙচুর চালানো হয়।