আজ বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’র এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রনেতা মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সংগঠক জশদ জাকির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর সহ-সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, চট্রগ্রাম জেলা আহ্বায়ক এ্যানি চৌধুরী, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, চট্টগ্রাম নগর সভাপতি সাইফুর রূদ্র, বিপ্লবী ছাত্র যুবা আন্দোলন চট্টগ্রামের সংগঠক তিতাস চাকমা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা আহ্বায়ক জুয়েল মজুমদার।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মত প্রকাশের অধিকার জনগণের মৌলিক নাগরিক অধিকার। স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের ক্ষমতা কাঠামো সুসংহত করতে পারছে। জনগণের ভোটাধিকার লুন্ঠনের মাধ্যমে গঠিত এই সরকার জনগণকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পুলিশি নিপীড়ন, বিচারিক জুলুম-সহ নানা কায়দায় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তটস্থ করে রাখতে পারলেও এই অবস্থা বেশিদিন চলবেনা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা কুবরা’কে আজ ৩৭১ দিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। একজন বন্দির নূন্যতম জামিনের অধিকার, চিকিৎসার অধিকারও লুন্ঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে ফেসবুকে জনগণের পক্ষে মতামত প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মাইদুল ইসলাম’কে শোকজ করা হয়েছে। যা প্রমাণ করে এই সরকার এবং তাবেদার শক্তিসমূহ জনগণের সমস্ত মুক্তস্বরকে নির্যাতন নিপীড়ন করে, স্বাধীন মতামত কেড়ে নিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। কিন্তু সারাদেশের সমস্ত জনগণ ফ্যাসিবাদী এই শাসন ব্যবস্থা রুখে দাঁড়াতে আজ ঐক্যবদ্ধ।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দ ৩৭১ দিন ধরে বন্দি খাদিজার নিঃশর্ত মুক্তি ও চবি শিক্ষক মাইদুল ইসলাম’কে দেয়া শোকজ প্রত্যাহারের দাবি জানায়। সকল ধরণের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী এই শাসনের অবসান ঘটানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জোট নেতৃবৃন্দ।
এক বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।।