বুধবার (৩ জানুয়ারি) বাড়বকুণ্ডের নামারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ অফিসের অবহেলার কারণে দোকানগুলো পুড়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে হঠাৎ একটি দোকানে আগুন লাগে। এসময় আশপাশের মানুষ আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করে। প্রায় চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসে দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, আমি ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে ইভেন্টের কাজ করছি। আমার এত বছরের কষ্টের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চোখের সামনেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল। বিদ্যুৎ অফিস যদি সময়মতো কল দিত তাহলে এত ক্ষতি হতো না।

তিনি আরও বলেন, মোট পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা।

বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হক বলেন, কুয়াশা থাকায় যেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। পরে লোকজন গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।

সীতাকুণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।