বুধবার (২৮ মে) সকালে মুছাপুর বদিউজ্জামান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের ওই বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে এলাকাবাসী বাড়ির একটি কক্ষে নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আলামত সংগ্রহের কাজও চলছে।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন সন্দ্বীপের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের না হলেও পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিয়মিত আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওসি জানান, “এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।”

ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারি শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলা পুলিশ টহল বাড়ানো এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।