চট্টগ্রামে ২৬টি পাহাড়ে প্রায় ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে। এই ২৬ পাহাড়ের মধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা/বিভাগের মালিকানাধীন ১৬টি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরের বায়োজিদ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকাসহ ওই সব পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাইনবোর্ডগুলো স্থাপন করেন।
সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড় খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড় কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তারা সরাসরি থানায়, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পাহাড় ধসের বিষয়ে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও সংবাদ এবং টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পাহাড় কাটা প্রতিরোধে মনিটরিং ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৭তম সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং আদালতের আদেশে পাহাড় ও টিলা কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আদালতের আদেশ অমান্য করলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি প্রদান করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাজহারুল ইসলাম, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম মশিউজ্জামান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক, হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান, চট্টগ্রাম মহানগরের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান ও আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।