চট্টগ্রামে আবারও শুরু হচ্ছে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। আগামীকাল (বুধবার) থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরজুড়ে ফাইজার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে। একইসঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সংস্থাটির কাছে ৬৭ হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা মজুত আছে। এসব টিকা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
নগর এলাকাকে সাতটি ভাগে ভাগ করে প্রাথমিকভাবে প্রতিটি অঞ্চলে ৩০০ ডোজ করে টিকা পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ফাইজার ভায়ালে ছয় ডোজ করে থাকায় একেক কেন্দ্রে ৫০টি ভায়াল পৌঁছেছে। একইভাবে জেলার উপজেলাগুলোতেও ৩০০ করে ডোজ পাঠানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিচ্ছেন। এরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। পর্যাপ্ত টিকা মজুত রয়েছে। ইতোমধ্যে মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা পৌঁছে গেছে।”
তিনি আরও জানান, “এই কর্মসূচিতে আগে যারা এক বা দুটি ডোজ নিয়েছেন, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। তবে যারা এখনো কোনো ডোজই নেননি, তাদের জন্যও সুযোগ থাকছে। ১২ বছর বয়সী ও তদূর্ধ্ব সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন জানান, “প্রথম ধাপে বয়স্ক নাগরিক ও প্রসূতি নারীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে আগে সুরক্ষা দেওয়া এবং করোনা প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা গ্রহণে আগ্রহ সৃষ্টি করতে মাঠপর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।”
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় টিকা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নাগরিকদের মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।