প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গুল-এ-জার বেগম সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, ইমারাতুন্নেসা কিন্ডারগার্টেন, পাঁচলাইশ কিন্ডারগার্টেন এবং কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই হেলথ কার্ড কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “শিশুদের স্বাস্থ্য শুধু পরিবার বা অভিভাবকদের দায়িত্ব নয়—প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকারকেও এর দায়িত্ব নিতে হবে। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করতে পারবো। এটি একটি সচেতন ও স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।”

তিনি আরও জানান, প্রকল্পের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকেও অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চট্টগ্রামের এই উদ্যোগ একদিন দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

হেলথ কার্ডে শিক্ষার্থীদের নাম, জন্মতারিখ, বিদ্যালয়ের নাম, শ্রেণি, অভিভাবকের নাম ও যোগাযোগ তথ্য সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে। ৫ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত মোট ১৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রেকর্ড রাখা যাবে। এতে প্রতিবার ওজন, উচ্চতা, চোখ-কান, দাঁত, ত্বক, চুল, রক্তচাপ ও হিমোগ্লোবিনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

একটি পৃথক অংশে টিকাদান সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে বিসিজি, পোলিও, হেপাটাইটিস-বি, এমআর, পেন্টাভ্যালেন্ট, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং র‌্যাবিসসহ প্রয়োজনীয় টিকার তথ্য লিপিবদ্ধ থাকবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী। সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহম্মদ।

স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন (রানা), বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমা বড়ুয়া এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুর বানু চৌধুরী।