চট্টগ্রামে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাড়ল ১০ শতাংশ

সিটিজি পোস্ট প্রতিবেদক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯/৬/২০২৫, ১২:০৭:৫৯ PM

চট্টগ্রামে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বাড়ল ১০ শতাংশ

চট্টগ্রামে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্ধারিত ভাড়ার ভিত্তিতে এই পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোগী ও মরদেহ পরিবহন নীতিমালার আলোকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে নগরবাসীর স্বস্তির কথা হলো—মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “ভাড়ার নামে মাস্তানি চলবে না, অনিয়ম–শোষণ সহ্য করা হবে না।”


সভায় সর্বসম্মতভাবে ১০% ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “রোগীর স্বজন যেখান থেকে খুশি, সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স নেবে। কোনো সমিতি নির্ধারণ করবে না যে কার গাড়ি যাবে। মারো, ঢুকতে দিও না—এমন সন্ত্রাস চলবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স চালক ও ওয়ার্ড বয়রা মিলে ‘ডিল’ করে, রোগী মারা গেলে তৎপরতা শুরু হয়। এই সংস্কৃতি ভাঙতেই হবে। এখনই যদি সংস্কার না করি, তাহলে দুর্নীতি পুরো ব্যবস্থাকে গ্রাস করবে।”

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, “কোন অ্যাম্বুলেন্সে কে যাবে, তা রোগীর স্বজনরা ঠিক করবেন, কোনো সমিতি নয়।”

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “রোগী ছাড়াও চালকরা অকারণে সাইরেন বাজায়। এসব বন্ধ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গাড়ি চালক মানুষ পরিবহন করছে, যেন সেটা পশু না হয়। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে কোনো অজুহাত শুনব না।”

চট্টগ্রাম অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ৩০% বাড়ানো হোক। শেষ পর্যন্ত ১০% বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা সম্মতি দিয়েছি। তবে মেয়রের অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।”

চট্টগ্রামবাসীর জন্য এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন কিছুটা ব্যয়ের চাপ বাড়াবে, অন্যদিকে দুর্নীতি ও মাস্তানির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে জনস্বার্থে সাহসী বার্তা দিয়েছেন মেয়র ও প্রশাসন।

ক্যাটাগরি:
কভার নিউজচট্টগ্রাম

কভার নিউজ ক্যাটাগরি থেকে আরো

চট্টগ্রাম-৯: বিএনপি-জামায়াতের ভিন্ন মেরু, মাঠে এনসিপি ও এবি পার্টিও

চট্টগ্রাম-৯: বিএনপি-জামায়াতের ভিন্ন মেরু, মাঠে এনসিপি ও এবি পার্টিও

২০ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ তথা বাকলিয়া, কোতোয়ালি ও চকবাজার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত আসনটি দীর্ঘদিন ধরে ‘ভিআইপি’ আসন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।এই আসনটি ঐতিহাসিকভাবে জাতীয়তাবাদী ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তিগুলোর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত...