বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লাভলেইন এলাকায় মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এ্যানি চৌধুরী। তিনি বলেন, “চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারকে ত্রুটিপূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। এই রায় আদালতের নিরপেক্ষতা ও দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর গভীর প্রশ্ন তুলেছে।”

তিনি জানান, ২৭ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধবিরোধী মিছিলে ছাত্রশিবিরের ধারাবাহিক হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি চলাকালে বৃহস্পতিবার সশস্ত্র হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এতে অন্তত ১২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

হামলার সময় উপস্থিত পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, “নারী কর্মীদের মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ব্যানার ছিনিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।”

সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, হামলায় নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আবরার হোসাইন রিয়াদ, জামায়াত নেতা আকাশ চৌধুরী, তৌকির, আসফারসহ বেশ কয়েকজন। যদিও ইসলামী ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এছাড়া ‘অ্যান্টি-শাহবাগ মুভমেন্ট’ নামধারী একটি ব্যানারে সংঘটিত হামলার পর, শাহবাগবিরোধী ঐক্যের নেতা–কর্মীরা এশার নামাজের পর দুইজন আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে কোতোয়ালি থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, “ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি রিপা মজুমদার, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সহসভাপতি ঈশা দে, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তৌকির আহমেদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অংহ্লাসিং মারমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া ও পুষ্পিতা নাথসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।