বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে বিজিএমইএর চট্টগ্রাম অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেলিম রহমান এই আশঙ্কার কথা জানান।

সেলিম রহমান বলেন, “২০২০ সালের করোনা মহামারির পর থেকেই তৈরি পোশাক শিল্প ধারাবাহিকভাবে সংকটে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মতো ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে, যার প্রভাব সরাসরি উৎপাদন খরচে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ রপ্তানিতে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এরমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বাড়ানো হলে তা উদ্যোক্তাদের জন্য আরেকটি ‘অর্থনৈতিক আঘাত’ হয়ে দাঁড়াবে।”

জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশের গার্মেন্টস খাত বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শ্রম অসন্তোষ, সরবরাহ শৃঙ্খলার বিপর্যয় এবং বিনিয়োগকারী অনিশ্চয়তা এই খাতকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।

“এই সংকটময় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের ফি বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কার্যত আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়াবে,” – বলেন তিনি।

সেলিম রহমান জাতীয় স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন,

“বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাতের স্বার্থে এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকা উচিত। এটি শুধুমাত্র শিল্প নয়, জাতীয় অর্থনীতির অস্তিত্বের সাথেও জড়িত।