মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।

গত বছরের ১৬ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম।

ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। তিনি দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বড় ছিলেন।

ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। অভিযোগে বলা হয়, আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনে হামলা চালায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলার সময় মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ, লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একপর্যায়ে আসামিদের নির্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হলে ওয়াসিম আকরাম বুকে ও নাভিতে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওয়াসিম হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।