শুক্রবার (২৮ মার্চ) নগরীর জিইসি এলাকায় এক রেস্টুরেন্টে জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিকদের সম্মানে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজ।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এনসিপি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ধারণ করতে সক্ষম। তারা নারীদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নয়া রাজনীতির বন্দোবস্ত করছে।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর চার্জশিট থেকে অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।”

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, “চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত করতে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।”

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কার কাঠামোর পরিবর্তন হচ্ছে। এর বিরোধিতা মানেই ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখা।” তিনি আরও বলেন, “৭২-এর সংবিধানের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর অন্ধ আনুগত্য দিয়ে জনবান্ধব রাষ্ট্র তৈরি সম্ভব নয়। গণঅভ্যুত্থান চলমান, এবং যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আবারও প্রাণ দিতে প্রস্তুত। সংস্কার এসেই ছাড়বে।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক সংগঠক ইমন সৈয়দ বলেন, “যদি গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার না করা হয়, তবে রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ৭১-এর পর যুদ্ধাপরাধ প্রশ্নটিকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে না পারায় ২০১৪ সালে গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “যদি ২০২৪ সালের আওয়ামী লীগের বিচার না করা হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও একটি গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে উঠবে না—এর নিশ্চয়তা কী? আওয়ামী লীগের বিচার না করা মানে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য পরিস্থিতি জিইয়ে রাখা। দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক মোহাম্মদ এরফানুল হক, মো. রাফসান জানি রিয়াজ প্রমুখ।